Description
প্রিয় ছোট বয়স,
পড়ালেখা কম হলেও হোক, ( সবার হয়না)
জীবনে ঠিক ঠাক থাকতে চাইলে, বড় বেলায় কিছুটা শান্তি এবং সুখে থাকতে চাইলে
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যা যা করা যাইতে পারে।
১. নিজের জীবন থেকে ভান ধরা কমায়ো ফেলো। তুমি যা, যা তোমার পরিচয়, যিনি তোমার বাবা,
যেই শ্রেনীতেই তুমি থাকো,
সেইটাই প্রকাশ কইরো।
কোনকিছু ঢাকার চেষ্টা কইরোনা।
বি অরিজিনাল।
কাউরে নকল করতে যাইয়োনা।
নিজের পরিচয়ে, অসন্তুষ্ট থাকলেও সেইটা লুকানোর চেষ্টা করবার মতন, কষ্টকর বোকামিটা করার দরকার নাই।
নিজের অবস্থান নিজের কাছে পরিস্কার থাকা খুব জরুরি।
নইলে অসুখ আসে৷ এংজাইটি আসে।
সারাক্ষণ একটা স্ট্রেসের মধ্যে থাকা লাগে।
লুকানোর জ্ঞান অর্জন করতে করতে, শো অফ করতে করতে সত্যিকার সামনে আর আগানো হয়না।
২ দয়া করে কারো গল্পের সবচেয়ে ক্রুয়েল ক্যারেক্টারটা হয়োনা। কারো মন ভাইঙ্গোনা।
প্রতারণা কইরোনা।
পেছনে প্ল্যান করে, কারো ক্ষতি কইরোনা। ঠকায়োনা। টাকা পয়শা/ জমি কাইরা নিয়োনা।
আমি আমার জীবনে, এরকম 'চালাক' মানুষদের একজনকেও সুখি হইতে দেখিনাই।
৩. দয়া করে, মিথ্যা বলাটা কমায়ে আনো। অজুহাত, ব্লেমিং এসব দুর্বল আত্নার ট্যাকটিক্যাল অবস্থা।
সাহসী মানুষ, এসবে ট্যাকটিসে লুকায়া থাকেনা।
নানা রকম দু:খ আসবে, ফেইলর আসবে।
সবারই আসে।
ফেইলরটা তুমি কিভাবে ফেস করো। কিভাবে নিজের ত্রুটি খুঁজে বের করে ফাইট ব্যাক করো,
তার উপর নির্ভর করে, তুমি আসলে কত দূর যাবা।
নিজের জীবনের সব ঘটনায় আরেকজনের ত্রুটি খুঁজে বের করা মানুষ আসলে খুব বেশিদূর যায়না।
৪ পিছন ফিরে তাকালে, আশেপাশের নানা রকম মানুষের জীবনের দিকে তাকালে,
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কি মনে হয় জানো?
পরোপকার!
মানুষের জন্য কিছু একটা করা।
মানুষের পাশে দাঁড়ানো মানুষ, মন নরম মানুষ, অন্যের দু:খে দু:খি মানুষ,
সাধারনত জীবনে কোন একটা জায়গায় ঠিক পৌছে য