ইংরেজরা নয়, বাঙালিরা গড়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
Listen now
Description
১৮৫৭সালে সিপাহী বিদ্রোহ হয়েছিল। কিন্তু ওই সালটি ভারতের শিক্ষাক্ষেত্রেও ছিল একটি মাইলফলক। ওই একই বছরে তিনটি প্রেসিডেন্সির তিনটি শহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনা হয়। কলকাতা, বোম্বাই ও মাদ্রাজ। আধুনিক ভারতের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। তখন উপাচার্য ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জেমস উইলিয়াম কোলভিল। তবে ব্রিটিশরা ভারতীয়দের বিদ্যাদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছিল এমনটা ভাবলে একটু ভুল ভাবা হয়। তখন তাদের কাজে সহায়তার জন্য যেটুকু দরকার সেরকম কর্মী তৈরি করারই ছিল এই বিদ্যাঙ্গনগুলির লক্ষ্য। তাই প্রথমদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা থাকত না। তারা শুধুই পরীক্ষা নিয়ে ডিগ্রি দিত।এমন কি ১৯০৪সালের আগে অবধি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিয়োগের অধিকার ছিল না। যদিও তার আগে থেকেই বেশ মানুষ শিক্ষাদানে এগিয়ে এসেছিলেন। বিজ্ঞান বিভাগের কথা বললে জগদীশচন্দ্র বসু ও প্রফুল্ল চন্দ্র প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াতেন। তখন প্রেসিডেন্সি কলেজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত একটা ক্যাম্পাস বলা যেতে পারে। এই সময়টায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় মূলত ফেলোরা পরিচালনা করতেন। তার মধ্যে ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রামগোপাল ঘোষ, প্রসন্নকুমার ঠাকুর, প্রিন্স গোলাম মহম্মদ, আলেকজান্ডার ডেফ প্রমুখরা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরিতে দুই বাঙালি দিয়েছিলেন কয়েক শো কোটি টাকা? তাঁরা না থাকলে আজ থাকত না বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজ বা রাজাবাজার ক্যাম্পাস। কেমন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর দিনগুলো। জানব আজকে এই পর্বে পর্ব পাঠ - শঙ্খ স্ক্রিপ্ট - কৌশিক রায় সাউন্ড ডিজাইন - শঙ্খ কভার - সুশ্রীক
More Episodes
ভীমনাগ তৈরি করেছিলেন লেডিকেনি। আজ প্রত্যেক হাটে-বাজারে এরকম কোনও মিষ্টির দোকান নেই যেখানে লেডিকেনি পাওয়া যায় না। কিভাবে তৈরি করেছিলেন তিনি সেই মিষ্টি? আজ থাকবে সে গল্প। আপনাদের জানিয়ে রাখি আজকের এই গল্পটি আমাদের বলেছেন ভীমনাগের পরিবারের এক সদস্য। তাই হাটে-বাজারে যেসব গুজব প্রচলিত আছে, সেসব বাদ...
Published 06/02/24
Published 06/02/24
বাংলায় লৌকিক দেব-দেবী বা অপদেবতার সংখ্যা নেহাত কম নয়। যাঁরা বিভূতিভূষণের লেখা পড়েছেন তাঁরা রঙ্কিণী দেবী, জ্বরাসুরের মতো এরকম অপদেবতারদের নাম শুনে থাকবেন। এছাড়াও কালু রায়, বনবিবি, ষষ্ঠীঠাকুর, পেঁচা-পেঁচি আরও কত যে লৌকিক দেবতারা আছেন তা গুণে শেষ হবে না। এই সমস্ত দেবতা কিন্তু বাংলার নিজস্ব দেবতা।...
Published 05/26/24